নীল নদের কাছে চিঠি পাঠালেন আমিরুল মোমিনিন ওমর ফারুক র.!!!

 


নীল নদরে কাছে চিঠি পাঠালনে আমরিুল মোমনিনি ওমর ফারুক র.!!!

পৃথিবীর দীর্ঘতম নদ নীল নদ। আফ্রিকা মহাদেশের ১১ টি  দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত এই নদ। মিশর সেই দেশ সমূহের একটি। হিজরি বিশ সনের কথা আমিরুল মোমিনিন ওমর ফারুক র. এর খেলাফতের সময় মুসলিমরা মিশর বিজয় করে। বিজয়ে নেতৃত্ব দেন প্রখ্যাত সেনাপতি আমর ইবনুল আস র.।

 মিশরে তখন খড়া, শুষ্ক মৌসুম। নীল নদে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে আছে। মিশরবাসি আমর ইবনুল আস র. কে জানাল বছরে নির্দিষ্ট সময় নীল নদ পানি শূন্য থাকে। তাদের মধ্যে একটা কুসংস্কার তখন প্রচলিত ছিল - একটি সুন্দরী তরুণী কে সাজসজ্জা করে নীলনদে  রেখে আসলে তখন নীলনদ আবার প্রবহিত হয়।

আমর ইবনুল আস র. এটি শুনে খুব অবাক হলেন। তিনি বললেন এটা জাহিলি রীতি, ইসলাম কখনো এই রীতি সমর্থন করেনা। মিশরবাসি আমর র. এর কথা শুনে চুপ হয়ে গেল। বেশ কিছুদিন হল নীল নদে পানির উচ্চতা বাড়ছেনা এতে আমর ইবনুল আস র. চিন্তায় পড়ে গেলেন, তিনি বাধ্য হয়ে আমিরুল মোমিনিন ওমর ফারুক র. কে এই বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে পত্র প্রেরণ করলেন।

 আমিরুল মোমিনিন ওমর ফারুক র. জানতে পেরে খুব পেরেশান হয়ে গেলেন। অবশেষে তিনি নীলনদ কে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখলেন- আমর ইবনুল আস র. কে তা নীল নদে নিক্ষেপ করতে বললেন। মিশরের  গভর্নর আমর র. খলিফার নির্দেশ মোতাবেক চিঠি টি নীল নদে নিক্ষেপ করলেন। পরের দিন সকালে মিশরবাসি খুবই আশ্চর্য হল যে এক রাতের মধ্যে মহান আল্লাহর নির্দেশে নীল নদে পানির উচ্চতা স্বাভাবিক নদের মত বেড়ে গেছে, নীল নদ এখন সবুজ,সতেজ প্রবহমান নদের মত। তখন থেকে আজ পর্যন্ত নীল নদের পানি প্রবহমান।  আল্লাহু আকবার!

আমিরুল মোমিনিন ওমর ফারুক র. নীল নদ কে চিঠিতে  কি লিখেছেন-

 “ আল্লাহর বান্দা আমিরুল মোমিনিন ওমর র. এর পক্ষ থেকে নীলনদের উপর প্রেরিত এই পত্র। হে নীল নদ! তুমি যদি নিজের ক্ষমতা বলে ও নিজের পক্ষ হতে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে তুমি আজ হতে আর প্রবাহিত হয়ো না। তোমার কাছে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আর তুমি যদি মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের হুকুমে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তোমাকে প্রবাহিত করেন ”।

ইসলাম কবুলের পর জাহিলিয়াতের সাথে কোন সম্পর্ক নাই। আংশিক ইসলাম আর আংশিক জাহিলিয়াত একত্রে পালন করার কোন সুযোগ নেই।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ ادْخُلُواْ فِي السِّلْمِ كَآفَّةً وَلاَ تَتَّبِعُواْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ

 অর্থ- হে ইমানদারগন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করোনা নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রæ। ( সুরা আল বাকারা, আয়াত-২০৮)

 মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের উপর এমন অগাত বিশ্বাস সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমাদের মৃত ইমান কে জাগিয়ে তুলতে এই দৃষ্টান্তগুলো কি যথেষ্ট নয়!!

Post a Comment

0 Comments